নিঝুম দ্বীপ, নোয়াখালী
ঘুরতে
কার না ভালো লাগে। আর
তা যদি হয় নিঝুম
দ্বীপ, তবে তো কথাই
নেই। নিঝুম
দ্বীপ নামটা শুনলেই মনটা
কেমন যেন ছটফট করতে
থাকে। কারণ
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণবিলাসী মানুষের
জন্য অত্যন্ত মনোরম একটি স্থান।
![]() |
নিঝুম দ্বীপ-নোয়াখালী |
❑ নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গপসাগরের বুক চিরে জেগে
ওঠা ছোট্ট একটি ভূ-খণ্ড।
❑ নামকরণ
বল্লার চর, কামলার চর,
চর ওসমান ও চর
মুরি এই চারটি প্রধান
দ্বীপ ও বেশ কয়েকটি
ছোট চরের সমন্বয়ে ১৯৫০
সালের শুরুর দিকে দ্বীপাঞ্চলটি
জেগে ওঠে। যার
আয়তন প্রায় ১৪,০৫০
একর। প্রথমে
স্থানীয় জেলেরা দ্বীপটি আবিষ্কার
করে। তারা
এর নাম দেয় বালুয়ার
চর, যা পরবর্তীতে বল্লার
চরে রূপান্তরিত হয়।
তবে কেউ কেউ বলেছেন,
দ্বীপটির প্রাচীন নাম চর ওসমান। ওসমান
নামের এক ব্যক্তি মহিষের
দল নিয়ে সর্ব প্রথম
এই দ্বীপে বসবাস শুরু
করেন। দ্বীপটি
সম্পূর্ণ নিরব হওয়ায় এর
নামকরণ করা হয় নিঝুম
দ্বীপ।
নিঝুম
দ্বীপে এখন হরিণের সংখ্যা
৪০ হাজাররের মত। তারপরও
হরিণ দেখতে হলে এখানে
ভ্রমণকালীন সময়ে কিছু বিষয়ের
প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বনে
ঢুকলে নিঃশব্দে চলাচল করতে হবে। সামান্য
হৈ চৈ করলে এখানে
হরিণের দেখা মেলা দুস্কর। জঙ্গলে
ট্রেকিং এর সময় যথা
সম্ভব সবাই হালকা রঙের
সুতি পোশাক পড়বেন।
বন্য প্রাণীদের দৃষ্টি খুব প্রখর। অতি
উজ্জ্বল পোশাকের কারণে দূর থেকেই
আপনার আগমন টের পেয়ে
যাবে ওরা। হরিণের
দল দেখতে বা ছবি
তুলতে চৌধুরী খালের শেষ
মাথা ভালো, ওই দিকটায়
হরিণ বেশি দেখা যায়। ভালো
ছবি পেতে চাইলে গভীর
জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বেশ
কিছু সময় বসে থাকতে
হবে। তবে
ভয় নেই বনে বন্য
কুকুর ছাড়া হিংস্র কিছু
নেই।
যারা উচ্ছাস উচ্ছলতা আর
রোমাঞ্চে জীবনকে অর্থবহ করতে
চান তারা নিঝুম দ্বীপকে
ঘিরে, সে আশা ষোল
কলা পূর্ণ করতে পারেন। শীত
মৌসুমে সাগর শান্ত থাকলেও
বছরের যেকোন সময় এখানে
আসা যায় এপ্রিল থেকে
সাগর ধীরে ধীরে অশান্ত
বা গরম হতে থাকে। তখন
ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়।
ট্রলারেসে তরঙ্গ বিক্ষুদ্ধ সাগর
পাড়ি দিতে প্রয়োজন পড়ে
সাহসের। সে
সময় এক রোমাঞ্চ অভিজ্ঞতায়
দুধর্ষ অভিযাত্রীর মত মনে হবে
নিজেকে। উদ্দাম
ঢেউয়ে ছিটকে আসা সমুদ্রের
লোনা জল পুলকিত হবে
হৃদয়। এ
সময় সমুদ্র পাড়ি হবে
জীবনের রোমাঞ্চকর হৃত-কাঁপানো অভিজ্ঞতা।
![]() |
নিঝুম দ্বীপ-নোয়াখালী |
❑ নিঝুম দ্বীপ এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
➫ চৌধুরী খাল
ও
কবিরাজের
চর
– যেতে হবে বিকেল এ
সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল
নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই
বনের মধ্যে হরিন এর
পালের দেখা পেতে পারেন। একটা
ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫
জনের গ্রুপ এর জন্য
১০০০-১২০০ টাকা ওরাই
হরিন দেখিয়ে আনবে, সন্ধ্যার
সময় কবিরাজের চর এ নেমে
সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার
মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন
না।
➫ কমলার দ্বীপ – সেখানের কমলার খালে অনেক
ইলিশ মাছ পাওয়া যায়
🙂 এছাড়াও
আশেপাশের দ্বীপগুলো সুন্দর।
➫ ম্যানগ্রোভ বন
– এটি নিঝুম দ্বীপ বনায়ন
প্রকল্প। নিঝুম
দ্বীপ এ ছোট ছোট
ছেলেরা গাইড এর কাজ
করে, এদের সাথে নিয়ে
সকাল বেলায় বনের ভেতর
ঢুকে পড়ুন। হরিন
দেখতে পাবেন।
➫ নামা বাজার সি
বীচ
– নামার বাজার থেকে হেঁটে
যেতে ১০ মিনিট লাগে। এখান
থেকে সূর্য উদয় ও
সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে
বারবিকিউ করে মজা পাবেন। দমার
চর ও ভার্জিন / কুমারী
সি বীচ – দমার চরের
দক্ষিন দিকে নতুন একটা
সী বিচ আছে যাকে
বলে ভার্জিন আইল্যান্ড। এখানে
অনেক নাম না জানা
পাখির দেখা পাবেন খুব
সকালে যদি যান।
অজানা এই জায়গাটা।
ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০
টাকা।
➫ চোয়াখালি ও
চোয়াখালি
সী
বিচ
– চোয়াখালিতে গেলে খুব সকালে
হরিন দেখা যায়।
মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে
রাখুন খুব সকালে আপনাকে
হোটেল থেকে নিয়ে হরিন
দেখিয়ে আনবে। ভাগ্য
ভালো থাকলে সকাল ৫
টায় ঘুম থেকে উঠে
ব্রাশ করতে করতে নিঝুম
রিসোর্ট এর বারান্দা থেকেও
হরিন দেখতে পারবেন ২/৪ পিস।
✪ আপনি যদি হাতে
সময় নিয়ে যান তবে
ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর,
চর কুকরি – মুকরি থেকে ঘুরে
আসতে পারেন।
❑ কখন যাবেন
অক্টোবর
থেকে এপ্রিল ১৫ তারিখ
এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী নিঝুম দ্বীপ ভ্রমনের
জন্য বেস্ট। অন্য
সময় বর্ষা থাকে ও
ঝড়ের কারনে মেঘনা নদী
ও সাগর উত্তাল থাকে।
❑ কিভাবে যাবেন
➫ সড়কপথে:
ঢাকার মহাখালী, কমলাপুর ও সায়েদাবাদ থেকে
এশিয়া লাইন, এশিয়া ক্লাসিক,
একুশে এক্সপ্রেস ও হিমাচল এক্সপ্রেসের
বাস যায় নোয়াখালীর সোনাপুর। ভাড়া
৩৫০-৪৫০ টাকা।
সেখান থেকে সিএনজিতে চেয়ারম্যান
ঘাট। ভাড়া
১০০ টাকা। এরপর
ট্রলারে চড়ে যেতে হবে
নলচিরা ঘাট। ভাড়া
১৫০ টাকা। সেখান
থেকে আবার বাসে জাহাজমারা
বাজার। ভাড়া
৭০ টাকা। জাহাজমারা
বাজার থেকে মোটরসাইকেলে মুকতারা
ঘাট। ভাড়া
৭০ টাকা। মুকতারা
ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকায়
নিঝুম দ্বীপ ঘাট।
ভাড়া ১০ টাকা।
সেখান থেকে আবার মোটরসাইকেলে
যেতে হবে নামার বাজার
(নিঝুম দ্বীপ)। ভাড়া
৬০ টাকা। তবে
সময়ের বিবর্তনে ভাড়ার ক্ষেত্রে তারতম্য
হতে পারে। তাই
যাতায়াতের শুরুতেই পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছ
থেকে ভাড়া জেনে নিয়ে
বাহনে চড়বেন।
এছাড়া
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে প্রতিদিন ভোর
থেকে রাত পর্যন্ত অনেকগুলো
চেয়ারকোচ সরাসরি নোয়াখালীতে যাতাযাত
করে। চার
থেকে সাড়ে চার ঘন্টায়
এগুলো সরাসরি মাইজদী সোনাপুর
এসে পৌঁছে ভাড়া ২৫০
টাকা মত।
➫ নৌপথে যাতায়াত: ঢাকা থেকে নিঝুম
দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুটটি
হলো- সদরঘাট থেকে লঞ্চে
হাতিয়ার তমরুদি। এ
পথে দুটি লঞ্চ নিয়মিত
চলাচল করে। এমভি
পানামা-২ ফোন- ০১৯২৪-০০৪৬০৮ এবং এমভি
টিপু-৫, ফোন-০১৭১১৩৪৮৮১৩।
ভাড়া ডাবল কেবিন ১৫০০
টাকা, সিঙ্গেল ৮০০ টাকা।
ডেকে জনপ্রতি ২২০ টাকা মত
হবে। ঢাকা
থেকে ছাড়ে বিকেল সাড়ে
৫ টায় আর তমরুদি
থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে
দুপুর সাড়ে বরোটায়।
তমরশুদ্দি থেকে স্কুটারে বন্দরটিলা
ঘাট ভাড়া ৬০০-৬৫০
টাকা মত। যাওয়া
যাবে ৩/৪জন।
স্কুটার ছাড়া বাস+রিকসা
করে বন্দরটিলা ঘাটে যাওয়া যায়। বাস
ভাড়া ৩০-৪০ টাকা,
রিকসা ভাড়া ৫০-৬০
টাকা। বন্দরটলা
ঘাট থেকে ট্রলারে চ্যানেল
পার হলেই নিজুম দ্বীপের
বন্দরটিলা। চ্যানেল
পার হতে সময় লাগবে
১৫ মিনিট। এটা
নিঝুম দ্বীপের এক প্রান্ত, আসল
গন্তব্য অন্য প্রান্তের নামা
বাজার। বন্দরটিলা
থেকে নামা বাজার যেতে
হবে রিকশায়। ভাড়া
১৫০-২০০ টাকা মত। ক্লান্ত
না হয়ে পড়লে ছবি
তুলতে তুলতে হেঁটেও যাওয়া
যায়।
➫ ট্রেনে
যেতে পারেন: নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত।
ঢাকা কমলাপুর থেকে বৃহস্পতি বার
বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৪.২০
মিনিট এ ৭১২ নং
আন্তঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস নোয়াখালী
এর দিকে ছেড়ে যায়,
মাইজদি পৌঁছে রাত ১০.২২ মিনিট।
ভাড়া - স্নিগ্ধা - ৫০৩ টাকা, প্রথম
চেয়ার - ৩৫৫ টাকা, শোভন
চেয়ার - ২৭০ টাকা, শোভন
- ২৩০ টাকা।
এছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে
প্রতিদিন ভোর থেকে রাত
পর্যন্ত অনেকগুলো চেয়ারকোচ সরাসরি নোয়াখালীতে যাতাযাত
করে। চার
থেকে সাড়ে চার ঘন্টায়
এগুলো সরাসরি মাইজদী সোনাপুর
এসে পৌঁছে ভাড়া ২৫০
টাকা মত। সকাল
সাতটায় কমলাপুর থেকে ছাড়ে উপকূল
এক্সপ্রেস ট্রেন । এছাড়া
ঢাকা সাঈদাবাদ থেকে আধা ঘন্টা
পর পর যাত্রীসেবা বাস
গুলো ছাড়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে।
নোয়াখালী সোনাপুর পৌঁছে সেখান থেকে
যেতে হবে চেয়ারম্যান ঘাট। বাস,
টেম্পু বা বেবীতে সরাসরি
৪০ কিঃমিঃ দক্ষিণে সুধারামের
শেষ প্রান্তে চর মজিদ স্টিমার
ঘাট। তার
পরেই হাতিয়া যাবার চেয়ারম্যান ঘাট। সোনাপুর
থেকে একটি বেবী রিজার্ভ
নিলে ৩০০-৪০০ টাকায়
যাওয়া যায়। টেম্পো,
বাসে জনপ্রতি ভাড়া আরো কম। চর
মজিদ ঘাট থেকে ট্রলার
কিংবা সী-ট্রাকে করে
হাতিয়া চ্যানেল পার হয়ে যেতে
হবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে।
সময় লাগে প্রায় দুই
ঘন্টা। ।
নলচিরা বাজার থেকে যেতে
হবে হাতিয়ার দক্ষিণে জাহাজমারা। সময়
নেবে আধা ঘন্টা।
জাহাজমারা থেকে ট্রলারে সরাসরি
নিঝুম দ্বীপ। সময়
নেবে ৪০-৫০মিনিট।
তবে দলবেঁধে গেলে ট্রলার রিজার্ভ
করে সরাসরি চেয়ারম্যান ঘাট
থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়া
যায়। ঘাট
থেকে নদীপথে হাতিয়া অথবা
নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার জন্য
অপেক্ষা করতে হবে জোয়ারের
জন্য।
![]() |
নিঝুম দ্বীপ-নোয়াখালী |
❑ কোথায় থাকবেন
নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের থাকার
জন্য অবকাশ পর্যটন নির্মাণ
করেছে নিঝুম রিসোর্ট এবং
নামার বাজার মসজিদ কর্তৃপক্ষ
নির্মাণ করেছে মসজিদ বোর্ডিং।
➫ নিঝুম
রিসোর্ট:
এই রিসোর্টে ৯টি ডাবল ও
ট্রিপল বেডের রুম এবং
৩টি ডরমিটরি রয়েছে যেখানে মোট
২২টি বেড রয়েছে।
পুরো নিঝুম রিসোর্টে ৬০
জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ
একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নিঝুম
রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জেনারেটরের ব্যবস্থা
রয়েছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য।
➫ রিসোর্টের
রুম
ভাড়া:
২ বেডের (১টি বাথরুম)
ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১
হাজার টাকা। ৬
বেডের ফ্যামিলি রুমের (১টি চার
বেডের রুম ও অন্যটি
২ বেডের রুম এবং
২টি বাথরুম) ভাড়া ২ হাজার
টাকা। ১২ বেডের
ডরমিটরির (৩টি বাথরুম) ভাড়া
২৪০০ টাকা এবং ৫
বেডের ডরমিটরির (২টি বাথরুম) ভাড়া
১২০০ টাকা। রুমে
অতিরিক্ত কেউ থাকলে জনপ্রতি
গুনতে হবে ১শ’ টাকা।
* অফ
সিজনে রুম ভাড়ায় ৫০%
ডিসকাউন্ট পাওয়া যায় ( এপ্রিল
১৫- সেপ্টেম্বর ৩০ )।
এখানকার
স্থানীয় বাজারে খুব সস্তায়
অল্প দামে চার পাঁচটি
আবাসিক বোডিং আছে।
তাছাড়া বন বিভাগের একটি
চমৎকার বাংলো আছে।
পাশেই আছে জেলা প্রশাসকের
ডাক বাংলো। এগুলোতে
আগে ভাগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
অনুমতি নিয়ে থাকার ব্যবস্থা
করা যায়। তাছাড়া
রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন
সেন্টারেও থাকার ব্যবস্থা করা
যায়।
➫ নিঝুম রিসোর্ট এর
ঢাকায়
যোগাযোগঃ
অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, শামসুদ্দিন
ম্যানশন, ১০ম তলা, ১৭
নিউ ইস্কাটন, ঢাকা। ফোন-
৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২৩৭২২৬৯।
➫ নিঝুম দ্বীপ এ
নিঝুম
রিসোর্টে
যোগাযোগঃ
সবুজ ভাইঃ ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪,
০১৮৪৫৫৫৮৮৯৯, ০১৭৩৮২৩০৬৫৫
➫ বন বিভাগের রেস্ট
হাউজ
– ০১৭১১-১৭৩৪৩৪, ০১৭১৫-৫৪৬৭৭২।
এদের নিজস্ব জেনারেটর আছে।
➫ মসজিদ বোর্ডিং, নামার
বাজার
– এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার
ব্যবস্থা। স্থানীয়
মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা
করেছে, এক্সট্রা দুইটা সিঙ্গেল এবং
দুইটা ডবল রুম আছে,
আর সব ডরমেটরি।
ডরমেটরি – ভাড়া ২০০ – ৩০০
টাকা। এই
বোর্ডিং এ কোনো এটাচ
বাথরুম নেই, নেই কোন
জেনারটরের ব্যবস্থা। এখানে
২টি কমন বাথরুম এবং
একটি টিউবওয়েল আছে। এই
বোর্ডিং এ থাকার জন্য
বুকিং করতে যোগাযোগ করতে
চাইলে – মোঃ আব্দুল হামিদ
জসিম, কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, নামার
বাজার, হাতিয়া, নোয়াখালী। ফোনঃ
০১৭২৭-৯৫৮৮৭৯
➫ মাহমুদ বোডিং
– ০১৭১৩-১১১৭৯৪। ভাড়া
পড়বে জনপ্রতি ৫০টাকা। হোটেল
শাহীন, নামার বাজার – হোটেলটা
নতুন। রুম
ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকার
মত পড়বে, তবে অবশ্যই
ভালো দর কষাকষি জানতে
হবে। ফোন
নম্বরঃ ০১৮৬৩১৫০৮৮১
➫ নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড
রিসোর্ট,
বন্দরটিলা
– পরিবেশ ভালো। ঢাকা
বুকিং অফিস – ০১৮৪৭১২৩৫৭৩ এবং
নিঝুমদ্বীপ বুকিং অফিস – ০১৮৪৭১২৩৫৭২
হোটেল দ্বীপ সম্পদ (সৈয়দ
চাচার থাকা ও খাওয়ার
হোটেল), নামার বাজার।
ফোনঃ ০১৭২০৬০১ ০২৬, ০১৭৬০০০৮১০৬।
❑ কোথায় খাবেন
নিঝুম
রিসোর্টে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। নামার
বাজারে তেমন ভালো কোন
খাবার হোটেল নেই।
যেগুলো আছে সেগুলোতে খেতে
পারেন, তবে আগেই কথা
বলে নেবেন। এতে
তাজা খাবার পাওয়া যাবে। বিভিন্ন
ধরনের মাছ দিয়ে খেলেও
৫০-৬০ টাকার বেশি
খরচ হবে না।
লোকাল কিছু খাবারের হোটেল
আছে। যেমন-
হোটেল সি-বার্ড, দ্বীপ
হোটেল এবং ভাই-ভাই
হোটেল। এখানে
আপনি মাছ, মুরগি,হাস,
কাকড়া, শুটকি খেতে পারবেন। তবে
ভালো মিষ্টি জাতীয় খাবার
পাবেন না। এছাড়া
নিজেরাও বাজার করে রান্না
করে খেতে পারেন।
নিঝুম দ্বীপ থেকে ফেরার
পথে এখানকার বিখ্যাত শুঁটকি কিনে নিতে
পারেন।
❑ সঙ্গে যা নেবেনঃ
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে আপনার
ট্রাভেল ব্যাগটি যথা সম্ভব হালকা
করার চেষ্টা করবেন ।
➫ কি
কি
নিতে
হবে
০১) ব্যাগ
০২) গামছা
০৩) ছাতা (অবশ্যিক)
০৪) রেইন কোর্ট
০৫) অতিরিক্ত ২ (দুই) সেট
কাপড়
০৬) পানির বোতল
০৭) মানকি ক্যাপ ( যদি শীতকালে যান
)
০৮) কেডস/ বুট/ মোটা
মোজা
০৯) গ্লাভস ( যদি
শীতকালে যান )
১০) পলিথিন
১১) সানক্যাপ
১২) সানগ্লাস
১৩) সানস্কিন
১৪) টিস্যু
১৫) ব্যক্তিগত ঔষধ
১৬) টর্চ লাইট + অতিরিক্ত
ব্যাটারী
১৭) ক্যামেরা+ব্যাটারী+চার্জার
১৮) মাল্টিপ্লাগ
১৯) শীতের কাপড় ( যদি শীতকালে যান
)
আপনার যাত্রা শুভ আর
নিরাপদ হোক !
মোবাইল নেটওয়ার্ক নিঝুম দ্বীপ এ শুধুমাত্র রবি এবং গ্রামীনফোন এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
No comments