চর আলেকজান্ডার, লক্ষীপুর
মেঘনা পাড়ে চর আলেকজান্ডার।
এখানে জোয়ার-ভাটার খেলা
চলে। উঁচু ঢেউ আঁচড়ে পড়ে। জেলেরা
রুপালি ইলিশ ধরে। মনোরম
এ পরিবেশ কার না
ভালো লাগে। তাইতো ছেলে-বুড়ো সবাই আলেকজান্ডার
মেঘনা পাড়ে উপচে পড়ে।
চর আলেকজান্ডার। এটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি
উপজেলা সদর।
![]() |
চর আলেকজান্ডার, লক্ষীপুর-View Bangladesh |
একসময় শুধু চর বলেই
পরিচিত ছিল এটি। তবে
যান্ত্রিক জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত
লড়াই করা মানুষগুলোর ভ্রমণ
পিপাসা মেটাতে এটি এখন
আপাদমস্তক পর্যটনকেন্দ্রই বলা চলে। চারদিকে
সবুজ বিস্তৃত মাঠ। মানুষের কোলাহল
নেই বললেই চলে। একটু
সামনেই বেঁড়িবাঁধ। এই বাঁধের ওপর
উঠলেই দেখা মিলবে মেঘনা
নদীর। ক্ষানিকসময় দাঁড়িয়ে থেকে আপনি চাইলেই
নিতে পারেন মুক্তবাতাস। আর
তার সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সত্যিই, এমন জায়গায় বেড়াতে
গিয়ে কিছুটা হলেও প্রশান্তির
ছোঁয়া খুঁজে পাবেন। আলেকজেন্ডার
চর (Chor
Alexander) এর চেয়ারম্যান ঘাট কোল ঘেষে
তৈরি হওয়া নতুন এ
বাঁধ দেখতে প্রতিদিন শত
শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
কেউ বা যাচ্ছেন পরিবারের
সদস্যদের নিয়ে। আবার কেউবা
বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য শুধু
এই চেয়ারম্যান ঘাটটি ঘিরে নয়।
একই সঙ্গে আসা যাওয়ার
পথে আপনি পাবেন সূবর্ণ
চর কিংবা নুরু পাটোয়ারীর
চরের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে
নয়া লীলাভূমিগুলো। এছাড়াও নোয়াখালীর দক্ষিণে
গিয়ে দেখা যাবে হাতিয়ার
টাঙ্কির চরও। যেখানে শুধু
চারিদিকে সবুজ আর সবুজ
মাঠ। কিছু দূর পর
পর একটি করে চর
বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। এসব দেখলে চোখ
জুড়িয়ে যাবে যে কারোরই।
বিকেল এর সময়টা ভাল লাগবে,
সুর্যাস্ত দেখবেন আর ওখানে
মহিষের দুধের দই পাওয়া
যায়, ভোজন রশিকেরা চেখে
দেখতে পারেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে লক্ষীপুর। ঢাকার
সায়েদাবাদ থেকে ইকোনো সার্ভিস,
ঢাকা এক্সপ্রেস, জোনাকি, রয়েল কোচ ইত্যাদি
বাস আছে। যদি কেউ
এসি বাসে যেতে চান,
তাহলে রোয়েল কোচ ভাল
হবে। ভাড়া ৬০০ টাকা
পড়বে, সাথে খাবার ফ্রি।
যেতে সময় লাগবে ৫-৫.৩০ ঘন্টা।
বাস থেকে লক্ষীপুর ঝুমুর
সিনেমা হল নেমে ওখান
থেকে লোকাল বাস আছে
আলেকজেন্ডার ঘাট পর্যন্ত। ভাড়া
পড়বে ৫০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে রামগতির সরাসরি
বাস সার্ভিস আছে। সরাসরি রামগতির বাসে
আসলে আলেকজান্ডার লঞ্চ ঘাটে নামতে
পারবেন। অথবা লক্ষীপুর (ঝুমুর
সিনেমা হল) নেমে ওইখান
থেকে লোকাল বাস আছে
আলেকজান্ডার ঘাট।
ঢাকা থেকে নোয়াখালীর হিমাচল
কিংবা একুশে এক্সপ্রেস বাসে
চড়ে সরাসরি সোনাপুর যাবেন।
সেখান থেকে সূবর্ণচর এক্সপ্রেস
নামের একটি বাস রয়েছে।
সেটিই আপনাকে পৌঁছে দেবে
আলেকজেন্ডারের চেয়ারম্যানঘাট। এছাড়া আপনি চাইলে
সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও যেতে
পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে তিনশ
টাকার মতো, লোকাল সিএনজিতে ৫০
টাকা ভাড়া নিবে। একইভাবে
ঢাকা থেকে টাঙ্কির চর
যেতেও পারেন। সোনাপুর থেকে
বাসে চড়ে যাওয়া যায়
সেখানে।
✺ আপনার যাত্রা শুভ আর নিরাপদ হোক- ✺ View Bangladesh
No comments