Header Ads

ভাটপাড়া নীলকুঠি, মেহেরপুর


ভাটপাড়া নীলকুঠি বাংলাদেশের মেহেরপুরে অবস্থিত একটি নীলকুঠি। ব্রিটিশ শাসনামলে এদেশে নীল চাষ পরিচালনার জন্য ইংরেজরা বিভিন্ন স্থানে কুঠি গড়ে তোলে যা নীলকুঠি নামে পরিচিত। মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলা শহর হতে প্রায় সাত কিলোমিটার উত্তরদিকে ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণে কাজলা নদীর পূর্বতীরে এই নীলকুঠির অবস্থান। মেহেরপুর জেলা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটপাড়া নীলকুঠি অবস্থিত। নীলকুঠির সামনে আমবাগান দক্ষিণ পশ্চিম পাশে নীল কুঠির কর্মকর্তাদের প্রার্থনার জন্য একটি চার্চের ভগ্নাংশ আছে
ভাটপাড়া নীলকুঠি, মেহেরপুর-View Bangladesh

২৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কুঠিবাড়িটির বেশকিছু জায়গা ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ায় কমে গেছে এর আয়তন। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট মূল ভবনটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে। ১৭৯৬ সালে এখানে নীল চাষ শুরু হয়। সময় বিখ্যাত বর্গী দস্যু নেতা রঘুনাথ ঘোষালির সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে গোয়ালা চৌধুরী নিহত হলে মেহেরপুর অঞ্চল রানী ভবানীর জমিদারীভুক্ত হয়। রানী ভবানী নিহত হলে কাসিম বাজার অঞ্চলটি ক্রয় করেন হরিনাথ কুমার নন্দী। পরে হাত বদল হয়ে গোটা অঞ্চলটি মথুরানাথ মুখার্জির জমিদারীভুক্ত হয়। এক সময় মথুরানাথ মুখার্জির সঙ্গে কুখ্যাত নীলকর জেমস হিলের বিরোধ হয়। অথচ মথুরানাথের ছেলে চন্দ্র মোহনই বৃহৎ অঙ্কের টাকা নজরানা নিয়ে মেহেরপুরকে জেমস হিলের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে মূল ভবন ছাড়াও জেলখানা, মৃত্যুকূপ ঘোড়ার ঘরগুলো দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়
২০১৬ সালের শেষের দিকে কাজলা নদীর ধারের নীলকুঠি বাড়িটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালের শুরুর দিকেই এর কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে কুঠিবাড়ি ঘিরে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণাধারা, বিভিন্ন পশু-পাখির মূর্তি, খেলাধুলার সরঞ্জাম, পানি পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, চলাচলের রাস্তা, বাহারি সব ফুলের বাগান করা হয়েছে

কিভাবে যাবেন
মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ১৭ কি: মি: বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/নছিমন/করিমন চরে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মত

কোথায় থাকবেন
গাংনি পলাশীপড়া সমাজকল্যাণ সমিতির রেস্ট হাউজে আবাসন সুবিধা আছে। এছাড়া মেহেরপুর জেলা সদরে সার্কিট হাউজপৌর হলফিনটাওয়ার আবাসিক হোটেলমিতা আবাসিক হোটেলকামাল আবাসিক হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে

আপনার যাত্রা শুভ আর নিরাপদ হোক- View Bangladesh

No comments

Powered by Blogger.